What causes damage due to sleeping?
বেশি ঘুমানোর কারণে কী কী ক্ষতি হয়
এমন অনেকেই আছেন
সকালবেলা অ্যালার্মের পর অ্যালার্ম বেজে যায়। কিন্তু ঘুম আর কিছুতেই ভাঙতে চায় না। মন বলে আরো পাঁচ মিনিট একটু ঘুমোই, তারপর উঠছি। ভোরবেলা বিছানা ছেড়ে উঠতে গেলে, এই ভাবনা ভাবেন সকলেই। মনে করুন আপনার তাড়াহুড়ো নেই। সকাল ন’টার সময় আপনি অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যেই সাত-আটঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘুম থেকে উঠতে আপনার ইচ্ছা করছে না। জোর করে ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে আপনাকে। বাড়ির বড়রা বলতেই পারেন, এটি অলসতার লক্ষণ। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের মতে, আপনার শরীরে বাসা বেঁধে রয়েছে কোন জটিল রোগ।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় শারীরিক এই অবস্থার নাম ডাইসেনিয়া। ক্লিনোম্যানিয়া বলেও পরিচিতি রয়েছে এই রোগটির।
চিকিৎসকদের মতে, এই উপসর্গ দেখা দিলেও কোন সময়ই ঘুম সম্পূর্ণ হয় না। সাত-ঘণ্টা ঘুমানোর পরেও ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। ঘুম থেকে সময় মতো উঠতে পারেন না বলে, উদ্বিগ্নতাতেও ভোগেন এই রোগীরা। তার ফলে স্বাভাবিকভাবে বহুবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যাতেও ভোগেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভোগার ফলে খিটখিটে মেজাজের হয়ে যান অনেকেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান যথেষ্ট এগোলেও, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মতো কোনও ওষুধই এখনও পাওয়া যায় না বলেই জানান চিকিৎসকরা। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে, এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেও মত চিকিৎসকদের।
নিয়মগুলি হল:
১। মদ্যপান থেকে বিরত থাকাই ভাল। ধূমপানও কিন্তু আপনার রাতের ঘুম কাড়ার জন্য যথেষ্ট৷ তাই ধুমপান এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
২। আপনার ডায়েটে কি কফি জাতীয় সামগ্রী রয়েছে? তবে তা এখনই খাওয়া বন্ধ করুন। ভাল ঘুমের জন্য তার পরিবর্তে আপনার ডায়েটে থাক দুধ চা কিংবা গ্রিন টি।
৩। অনেকেই পোষ্য বিড়াল, কুকুরকে নিয়ে রাতে ঘুমোতে যান। সেই অভ্যাস থাকলে কিন্তু বাড়তে পারে ঘুমঘোর না কাটার সমস্যা। তাই আজ থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পোষ্যকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
৪। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন। যোগাভ্যাসের মাধ্যমে দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারেন আপনি।
৫। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যান। তবে শোওয়ার ঘরে কোন শব্দ যাতে না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে সব আলোই বন্ধ রাখুন। একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠারও অভ্যাস করুন।
আজকের মত এ পর্যন্তই লেখাটি পড়ে কেমন লাগল কমেন্ট এ জানান।
No comments