জানলে অবাক হবেন সারা বিশ্বে দম্পতিদের যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়ার মূলে রয়েছে এই কারণ!
কেমন আছো বন্ধুরা,
আমাদের মনের সঙ্গে শরীর। এই দুইয়ের ঠিক মিলমিশই বিশ্বের যে কোনও সুস্থ ও স্বাভাবিক বিবাহিত সম্পর্কের বুনিয়াদ বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ যৌনতা কেবল সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে এমনই নয়, মানসিক অবসাদ দূর করা, জীবনীশক্তি বাড়ানো ইত্যাদি নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে এর। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যৌন জীবনে নিরাসক্তি ও বিছানায় অনীহা বিশ্বের প্রায় সব দেশের দম্পতিদের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। আর তার মূলে রয়েছে স্মার্টফোন!
মূল সমীক্ষাটি আমেরিকাকে কেন্দ্র করে হলেও এই সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন এ দেশের মনস্তত্ত্ববিদরাও। সম্প্রতি এক মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার গবেষণায় উঠে এল এমনই চমকপ্রদ তথ্য! লিভ ইন হোক বা বিবাহিত সম্পর্ক— সব ক্ষেত্রেই যৌন জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেডরুমেও স্মার্টফোনের হাতছানি। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই মোহপাশ কেটে সঙ্গীর দিকে মন দেওয়ার সময়ই থাকছে না কারও! এমনকি, সদ্য বিবাহিতরাও বাদ নন এই তালিকা থেকে। ফলে ‘কোয়ালিটি টাইম’-এর হাহাকার বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নানা সামাজিক ও সাংসারিক জটিলতা।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার দম্পতির উপর সমীক্ষা চালালে দেখা যায়, তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই একান্ত নিজস্ব সময়ও রতিক্রীড়ার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোনে। শুধু তা-ই নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ অধিকাংশের দাবি, ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাঁদের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর মুখ নয়, মোবাইল দেখেই চোখ বোজেন তাঁরা। এমনকি, এঁদের কারও কারও একই বাড়িতে থেকেও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠছে সাধের স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কথা বা তথ্য চালান হচ্ছে সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমেই! লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।
No comments