ইউটিউব কয়েকধরণের ভিডিও নিষিদ্ধ করেছে
ইউটিউব কয়েকধরণের ভিডিও নিষিদ্ধ করেছে
সম্প্রতি ‘চ্যালেঞ্জ’ জেতার নামে মূলত পশ্চিমা বিশ্বে বিভিন্ন বিপজ্জনক কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। যার ফলস্বরূপ হতাহতের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।
এসব কথিত চ্যালেঞ্জের ভিডিও দেখে একদিকে কোমল মানসিকতার মানুষ যেমন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে, তেমনি অনেকে প্রভাবিত হয়ে ওরকমই কোনো ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে।
এর আগেও ইউটিউবে বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ পূরণ করার ভিডিও পোস্ট করা হতো। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ‘বার্ড বক্স’ নামের হলিউড চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবার পর থেকে চোখ বেঁধে দৈনন্দিন কাজসহ ঝুঁকিপূর্ণ বহু কাজের চেষ্টা করার নতুন প্রবণতা শুরু হয়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এ কারণেই টেক জায়ান্ট গুগল মালিকানাধীন ইউটিউব এবার ঘোষণা দিয়ে এসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার ভিডিও শেয়ারিং সাইটটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের ভিডিও কনটেন্টের জন্য কোনো জায়গা নেই ইউটিউবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই ইউটিউবের বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠানটি এসব নীতিমালা প্রয়োগে তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি।
বাজফিড মঙ্গলবার তার বিস্তারিত এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, গত এপ্রিলে সাইট থেকে ক্ষতিকর সব ভিডিও মুছে ফেলার অঙ্গীকার করলেও কীভাবে এখনো আগ্রাসন, সহিংসতা ও পাশবিক আচরণ প্রকাশক এবং এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহী করার মতো অসংখ্য কনটেন্ট ইউটিউবে ছড়িয়ে আছে; যেসব ভিডিওর অনেকগুলোতে আছে কয়েক মিলিয়ন ভিউ।
ইউটিউবের ‘ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চেন’ সেকশনে এবার এ নিয়ে একটি বার্তা যোগ করা হয়েছে:
‘ইউটিউবে দর্শকনন্দিত অসংখ্য ভাইরাল চ্যালেঞ্জ এবং প্র্যাংক ভিডিও রয়েছে। তবে আমরা সবসময়ই এমন নীতিমালা সক্রিয় রেখেছি যেন আমরা নিশ্চিত করতে পারি কোনো কনটেন্টই হাস্যরসের সীমা ছাড়িয়ে ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক হয়ে না ওঠে।
আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইনে এমন সব ধরনের কনটেন্ট পোস্ট করতে নিষেধ করা হয়েছে যা ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিতে পারে এবং ফলস্বরূপ গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আজ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ বা প্র্যাংক বলতে আমরা কী বোঝাতে চাচ্ছি।
এখন থেকে আমরা এমন কোনো ভিডিও সাইটে রাখতে দেবো না যেখানে বিপদ ঘটতে পারে বা গুরুতর শারীরিক জখম হতে পারে এমন কোনো ঠাট্টা দেখানো হয়েছে।’
এই ঠাট্টা বা প্র্যাংকের আওতায় এমন ভিডিও-ও থাকবে, যেখানে কাউকে ধোঁকা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে সে বিপদে আছে, কিন্তু বাস্তবে সেখানে কোনো ঝুঁকি নেই।
তবে অনেকের মতে, নতুন এই নীতিমালা আরোপ করা আরও কঠিন হতে পারে। কেননা ক্ষতিকর ভিডিওর সংজ্ঞা আসলে যথেষ্টই অস্পষ্ট। ইউটিউব শেষ পর্যন্ত কোন ভিডিওকে বিপজ্জনক মনে করবে আর কোনটাকে নিরাপদ ভাববে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মূলত তার ওপরই নির্ভর করছে।
No comments