স্মার্টফোন কিভাবে ক্ষতি করছে আপনার ত্বকে!
স্মার্টফোন কিভাবে ক্ষতি করছে আপনার ত্বকে!
আপনি তো আপনার ত্বকের যথেষ্ট যত্ন নেন।
তবুও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মুখ, গাল, গলার ত্বকে দেখা যাচ্ছে দাগ, ব্রণ। এমনকি, চোখের তলায় জার্ক সারকেলও বাসা বাঁধছে যেন।
সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে, এমন দাগ, ব্রণ ও অ্যালার্জির কারণ আপনার সঙ্গে সব সময় থাকা আপনার দামি স্মার্টফোনটি।
জেনে নিন, স্মর্টফোন ব্যবহারের ফলে কী ভাবে ক্ষতি হচ্ছে আপনার মুখ ও গলার ত্বকের।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে তার সঙ্গে রইল তার প্রতিকারের উপায়,
১। ব্রণ বা অ্যাকনে কথা বলার সময় স্মার্টফোনের স্ক্রিন গালের বেশ খানিকটা অঞ্চলে লেগে থাকে। এর ফলে, গালের মেক-আপ বা ক্রিম খুব সহজেই জমে যায় স্ক্রিনের উপর। এতে জীবাণুর সৃষ্টি হয় এবং ত্বকের ক্ষতি করে। সমাধান: চেষ্টা করুন ফোনটি পরিষ্কার রাখার। বাজারে স্ক্রিন ক্লেনজার পাওয়া যায়। চেষ্টা করুন ইয়ারফোন ব্যবহার করার। তবে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক মতে। অর্থাৎ ইয়ারফোনের ভলিউম যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়।
২। চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল স্মার্টফোনের এলইডি লাইট বা নীলাভ আভা চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। প্রায় প্রত্যেক মানুষই, বর্তমানে শুতে যান মোবাইলে চ্যাট করতে করতে। এর ফলে ঘুমের ক্ষতি তো হয়ই, যার কারণস্বরূপ চোখের তলা কালো হয়ে যায়। সমাধান: ঘুমতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনটি বন্ধ করে দিন। না হলে তার ব্রাইটনেস যথাসম্ভব কমিয়ে দিন। পারলে ফোনটি সাইলেন্ট করে রাখুন।
৩। অ্যালার্জি নতুন স্মার্টফোনটি ব্যবহারের পর থেকেই গালে ও গলায় র্যাশ দেখা দিচ্ছে। অনেক ফোনই রয়েছে যার ক্যাসিং তৈরিতে নিকল ও ক্রোমিয়াম ব্যবহার করা হয়। আপনার অ্যালার্জির কারণ ওই দুটি বস্তুই। সমাধান: যদি সম্ভব হয় তবে অবশ্যই ফোনটি বদলে নিন। না হলে আলাদা কাভার লাগিয়ে নিন ফোনে।
৪। ডার্ক স্পট বেশিক্ষণ ব্যবহারের ফলে, খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনার স্মার্টফোনটি গরম হয়ে যায়। সেই তাপের ফলে মুখের চামড়ার মেলানিন পিগমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং কালো ছোপ পড়ে মুখের ত্বকে। সমাধান: বলাই বাহুল্য, ফোনে কথা বলা কমিয়ে দিন। যদি সম্ভব হয়, ইয়ারপিস ব্যবহার করুন।
৫। বলিরেখা বা রিঙ্কলস আপনার নজর সারাক্ষণই মোবাইল স্ক্রিনের দিকে থাকে। মানে, ঘাড় নিচু করে লাগাতার আঙুল চলছে স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উপরে। এর ফলে, খুব অল্প সময়েই, গাল ও গলার নীচে বলিরেখা ফুটে ওঠে। এর সঙ্গে চোখের চারপাশেও রিঙ্কলস দেখা দেয়।
সমাধান: চেষ্টা করুন মোবাইল ফোন ব্যবহার কমাতে। অথবা, একটু পরে পরেই ব্রেক নিন। এবং স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময়ে কখনই চোখ ছোট করবেন না।
No comments