ডিম সম্পর্কে মানুষের রয়েছে ভুল ধারণা
ডিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের রয়েছে অনেক ভুল ধারণা,
ডিম ছাড়া সকালের নাস্তার
কথা যেন চিন্তাই করা যায় না! প্রাকৃতিক প্রোটিনের শ্রেষ্ঠ উৎস হচ্ছে ডিম।
যদিও ডিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের রয়েছে অনেক ভুল ধারণা।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল জানিয়েছে, ডিমে কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা তো
নেই-ই, উপরন্তু নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে ডিমে
থাকা প্রোটিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি১২, ফলেট ও ভিটামিন ডি। তাই হৃদরোগের
ভয়ে ডিম না খাওয়া একদমই অনুচিত।দেখে নিন দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা কেন জরুরি
ডিমে রয়েছে কএক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
একটি সেদ্ধ ডিমে ভিটামিন এ, বি৫, বি১২, বি২, বি৬, ডি, ই, কে, ফসফরাস,
ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিটি ডিমে রয়েছে ৫ গ্রাম প্রোটিন।
যদিও কোলেস্টেরল রয়েছে ডিমে, কিন্তু এটি সাধারণত রক্তের কোলেস্টেরলের কোনো
মাত্রা বাড়ায় না। বরং নিয়মিত ডিম খেলে শরীরের এইচডিএল লেভেল বাড়ে। এইচডিএল
এক ধরনের স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল যা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখে।
ডিম একটি সুষম খাদ্য। দুধের মতো ডিমেও প্রায় সব খাদ্যগুণ রয়েছে।
বাড়ন্ত বয়সে প্রতিদিন ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ আমিষ, শর্করা, আয়রনসহ
এগুলো সবই প্রয়োজন বাড়ন্ত বয়সে। মস্তিষ্ক ও হাড়ের সঠিক গঠনে সাহায্য করে
ডিম।
ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুস্থতার জন্য জরুরি।
অনেকে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ খান হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের
ভয়ে। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে ডিমের কুসুমেও তেমন কোন ঝুঁকি
নেই। প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ টি ডিম বরং বিভিন্ন শারীরিক ঝুঁকি কমায়।
ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিটি ডিমে পাওয়া যায় কমপক্ষে ৫ গ্রাম চর্বি যা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসেবে সুস্থ রাখে শরীর।
যাদের স্বাভাবিকের চাইতে কম থাকে ব্লাড প্রেসার তাদের জন্য ডিম খুবই উপকারী।
সাবধানতা
অতিরিক্ত ডিম খাওয়া অনুচিত।
কোনও নির্দিষ্ট রোগের কারণে ডিম খেলে
অস্বস্থিও হতে পারে,
সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম
খান।
ডিম কাঁচা খাবেন না। কাঁচা ডিমে থাকা বিভিন্ন রোগজীবাণু অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
No comments